সিরাজগঞ্জে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সবজি চাষের আগ্রহ বাড়ছে
প্রকাশিত : 01:56 PM, 8 October 2020 Thursday

সিরাজগঞ্জে হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে টমেটোসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ বাড়ছে। খরচ কম হওয়ায় জেলার অনেক উদ্যোক্তা পদ্ধতিটিকে বেছে নিচ্ছেন।
হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে সাফল্য পেয়েছেন সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের শাহানগাছার তরুণ উদ্যোক্তা জাহিদুল ইসলাম মিলন।
দুই মাস আগে দুই হাজার বর্গফুটের একটি গ্রিন হাউজের মধ্যে বিউটি জাতের টমেটোর চারা লাগান মিলন। এরই মধ্যে গাছে ফুল এসেছে। কোনো কোনো গাছে ধরেছে ফল। কিছুদিন পরই টমেটো বিক্রির উপযোগী হবে বলে জানান মিলন।
ওই কৃষি খামারে দুইজন কর্মী গাছগুলোর পরিচর্যা করেন। তারা জানান, মাটি ছাড়াই প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়ার মধ্যে টমেটোর চারা রোপণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে কোনো মাটির প্রয়োজন হয় না। কেবল পানিতে জন্মায় গাছ।
মিলন পেশায় ছিলেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। পরে আউটসোর্সিংয়ের কাজ শুরু করেন। পরিচিত হন এক বিদেশির সঙ্গে। তার পরামর্শেই ওই এলাকায় ২০১৬ সালে এক একর জমিতে গড়ে তোলেন ফার্মডেক্স অ্যাগ্রো ফার্ম।
দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় চলতি মৌসুমে থাইল্যান্ডের হানিডিউ তরমুজ চাষ করে সফলতা পান মিলন। এখন চলছে টমেটোর চাষ।
মিলন জানান, কৃষিকাজে আগ্রহ অনেক আগে থেকে ছিল। এবার ৬৪০টি টমেটোর চারা লাগানো হয়েছে। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। পুরোদমে ফল আসা শুরু হলে সপ্তাহে ৩০০ কেজি টমেটো পাওয়া যাবে। এতে খরচ ছাড়া আড়াই লাখ টাকা মুনাফা হবে।
খামারটিতে লাউ, কাঁচামরিচ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, খিরা, ক্যাপসিকাম, স্ট্রবেরি, গাঁদা, গোলাপ, অর্কিডসহ নানা ধরনের ফসল ও ফুলের চাষ শুরু করেছেন মিলন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোস্তম আলী বলেন, ‘উপজেলায় হাইড্রোপনিক পদ্ধতি নতুন। উদ্যোক্তাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে সাফল্য এলে আরও উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক গণঅধিকার'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyganoadhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক গণঅধিকার'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।