লিসবনে শহিদ দিবস উদযাপন
প্রকাশিত : 06:20 PM, 22 February 2021 Monday

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পর্তুগাল-এর রাজধানী লিসবনে রবিবার বাংলাদেশ দূতাবাস মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে। কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে পর্তুগাল সরকার কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধের প্রেক্ষীতে দিবসটি সীমিত পরিসরে পালিত হয়েছে।
দূতাবাসের এক বিজ্ঞপিতে জানানো হয়, সকালে চান্সারি প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দুতাবাসের সকলকর্মকর্তা ওকর্মচারির উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচীর সূচনা করেন। দিবসটি উপলক্ষে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কালো ব্যাজ ধারণ করেন। চান্সারি প্রাঙ্গণ ইতোমধ্যেই ব্যানার, পোস্টার ও বর্ণমালা দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান দুতাবাসের সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তাকে নিয়ে লিসবন শহরের কেন্দ্রস্থলের Campo dos Mártires da Pátria নামক উদ্যানে অবস্থিত স্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দুপরে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চান্সারিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা শহীদদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত্ব বাণী পাঠ করা হয়।
এরপর মহান শহীদ দিসব ও আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস-এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তাগণ বাঙ্গালীর সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অগ্রগতিতে একুশে’র বিশাল অবদানের বিষয়টি তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তাঁর বক্তব্যে ভাষা শহীদানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ভাষা আন্দোলনে তারুণ্যের নেতৃত্বদানকারী সেসময়ের উদীয়মান রাজনীতিক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। তিনি উল্লেখ করেন, শহীদদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার সাংবিধানিক স্বীকৃতি অর্জিত হয়। একুশের অনুপ্রেরণাতেই অব্যাহতভাবে পাকিস্তানী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন প্রতিহত করার মাধ্যমে বাঙ্গালী ধাপে-ধাপে তার আত্ম-পরিচয়, অর্থাৎ বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদকে খুঁজে পেয়েছিল। এই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ-ই চূড়ান্তভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভিত রচনা করেছিল।যারা প্রবাস জীবনে আছেন, রাষ্ট্রদূত তাঁদের প্রতি আহ্বান জানান, বিদেশীদের কাছে বাংলা ভাষা আর সংস্কৃতির মহিমাকে তুলে ধরতে আর নিজেদের নতুন প্রজন্মের মাঝে এর চর্চাকে উৎসাহিত করতে।
আলোচনাশেষে, সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক পর্বে সমবেত কন্ঠে’ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে একুশের কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
শেয়ার করে সঙ্গে থাকুন, আপনার অশুভ মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয়। আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি দৈনিক গণঅধিকার'কে জানাতে ই-মেইল করুন- dailyganoadhikar@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
দৈনিক গণঅধিকার'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।